দেশের সার্বিক উন্নয়ণের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের অবকাঠামো সৃষ্টির মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন, গ্রামীণ শিল্পায়ন, বেকার সমস্যার সমাধান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে “লাভ নয়, লোকসান নয়” এবং “গ্রাহকগণই প্রকৃত মালিক” ধারণার ভিত্তিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি হিসেবে নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আত্মপ্রকাশ করে। দেশীয় সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং প্রাপ্ত বৈদেশিক সহায়তাকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগিয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৭৭ সালের ৩১ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড গঠিত হয় এবং পর্যায়ক্রমে দেশের সর্বত্র বিদ্যুতায়নের উদ্দেশ্যে কার্যক্রম শুরু করে। এ কার্যক্রমের আওতায় নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি হিসেবে ১৯৯৮ সালের ১৩ মে রেজিষ্ট্রেশনপ্রাপ্ত হয় ও ১৯৯৭ সালের ০১ আগস্ট বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ বিতরণ শুরু করে। এতদ অঞ্চলের কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্র প্রসারে ও জীবন যাত্রার মান উন্নয়ণ ও গণ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেনীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে চলছে। সমিতিকে আর্থিকভাবে স্বণির্ভর করার লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণ করা, সংযোগপ্রাপ্ত সকল সম্মানিত গ্রাহকগণের নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা, ট্রান্সফরমার চুরি রোধে সহায়তা করা এবং সমিতির দৈনন্দিন কাজে সহযোগীতা করাসহ সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে বিদ্যুতের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে সমিতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট সকলের ভূমিকা রাখা জরুরী।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস